যুক্তির সংলাপ পর্ব ৩
যুক্তির সংলাপ পর্ব ৩
সংগ্রহেঃ মোঃ নিয়ামত আলী
(সংলাপ ৫) নাসেক মান্সুক
আমি এই বিষয়ে কিছু বড়
বড় লেখা পরেছি কিন্তু কিছুই বুঝি নি ।
চলে গেলাম আমাদের এলাকার
বড় মুফতি হুজুরের কাছে । এত
সুন্দর করে বুঝালেন মাশা আল্লাহ । কোরানের
প্রতি ভালবাসা আগের থেকে আরও বেশি বেড়ে গেল আলহামদুলিল্লাহ ।
আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম
হজরত নাস্তিকরা এই বিষয়ে বলে নাসেক মান্সুক নাকি কোরানের একটি ত্রুতি ?
হুজুরঃ দেখো । ধরো,
তমার ছায়ার ওপর আমি আসলাম এতে তমার ছায়া চলে গেল। আবার
ধরো আমার হাত কেটে গেছে ।
এখন ডাক্তার বলেছে এখানে পানি লাগানো যাবে
না ।
কিন্তু আমরা জানি ওজুতে হাতে পানি লাগাতে
হয় কিন্তু হুকুম হল এখানে পানই লাগানো জানে না ।
আমিঃ মানে অবস্থার পরিপেক্ষিতে
হুকুম এর ভিন্নতা ......
হুজুরঃ এইত বুঝেছ তুমি
।
যেমন কিছুক্ষণ আগে কি জেন বলেছিলে
আমিঃ মা মালাকাত আইমানুকুম
বিষয়ে ।
হুজুরঃ হ্যাঁ । ধরো
ইসলামি কোন রাষ্ট্রে এখন যুদ্ধ হচ্ছে ।
তাই আইমানুকুম এর হুকুম শুদু অই দেশেই প্রযোজ্য
কিন্তু বাংলাদেশের জন্য না ।
আমিঃ ও আচ্চা । হুজুর
মৃত্যু হয়ে যাবে এই অবস্থায় হালাল খাবার না পেলে কিন্তু হারাম দিয়ে খাওয়া বৈধ ।
হুজুরঃ হ্যাঁ ।
অর্থাৎ অবস্থান বুঝতে হবে । কোন
অবস্থানে কোন হুকুম ।
আমিঃ নাস্তিকদের সাথে
কথা বলে জা বুঝেছি ওরা এই সব বুঝে না ।
আর বুঝার চেষ্টাও করে না । যাক
আলহামদুলিল্লাহ ।
আমি বুঝেছি ।
হুজুরঃ (মুখে মুচকি হাসি)
আমিঃ আমার বই বের হচ্ছে
বই মেলায় দোয়া করবেন ।
তবে মুফতি সামসুদ্দহা হুজুর শরিয়া সম্পাদনা
করবে তারপর আপ্নিও একবার দেখবেন ।
হুজুরঃ ইন শা আল্লাহ । অবশ্যই
।
আমিঃ সন্ধ্যা হয়ে গেল
উঠি আসসালামুয়ালিকুম ।
হুজুরঃ অয়ালিকুম আসসালাম
।
(অনেক কথা বললাম আজ আলহামদুলিল্লাহ
খুব ভাল লাগল ।
নাসেক মানসুক বিষয়ে এত সুন্দর করে আমাকে
বুঝাল যে আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ । ইসলাম
বিষয়ে জানতে অবশ্যই আলেমদের কাছে জান তাঁদের সহবত গ্রহন করুন )
(সংলাপ ৬) হুজুর বনাম মুফাসসিলঃ
হুজুর বনাম মুফাসসিলঃ
"মুফাস্সিল মরলে বুঝবা কত ধানে কত চাল।" - হুজুর কেবলা
"আপনি কিভাবে জানেন ? কয়বার মরে দেখেছেন
এ পর্যন্ত ?" - আমি
"কোরানে আছে পড়ে দেখো !" - হুজুর কেবলা
"মোহাম্মদ কয়বার মরে দেখেছিলো ?" - আমি
"আমার বাপ দাদারা তাহলে কি ভুল আর তুমি সঠিক ?" - হুজুর কেবলা
"আপনার বাপ দাদারা ভাবতো স্কিজোফ্রেনিক রোগ আসলে জীন-ভুত ধরা !" - আমি
"একুল সেকুল দুই কুল হারিয়ো না। " - হুজুর কেবলা
"ভিত্তিহিন কথায় নিজে খোলা মনে না জেনে প্রশ্নাতীতভাবে একটি বর্বর মতবাদ
অনুসরণ করে
একটি মাত্র জীবন ঘৃণার মাঝে ডুবিয়ে রেখেন না। " - আমি
"তোমার কথা কেউ শোনে না। " - হুজুর কেবলা
"আপনি শুনছেন কেন ?" - আমি
"ভালো ইসলামী আলেমের সাথে কথা বলো উত্তর পাবে। " - হুজুর কেবলা
"তাহলে আপনার কাছে উত্তর না থাকলে আপনি না জেনে মানছেন কেন আর আমার
কাছে যারা এসেছে দেশি-বিদেশী সব তো ধরা খেয়েই যাচ্ছে !" - আমি
হুজুরঃ ঠিকি বলেছেন সব ধরা খেয়ে তা টয়লেটে ফেলে দিয়েছে । এতে কোন সমস্যা নেই ।
মুফাঃ মানে !
হুজুরঃ আপনি যে একটু আগেই কইলেন যে "মোহাম্মদ কয়বার মরে দেখেছিলো ?" এর মানে কি আপনি এটাই বলতে চাচ্ছেন যে সব কিছু দেখে বিশ্বাস করতে হবে ?
মুফাঃ কেন নয় ?
হুজুরঃ আপনার আত্মা আছে বিশ্বাস করেন ?
মুফাঃ হে ।
হুজুরঃ আপনি তো গরুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তাইনা ?
মুফাঃ হে ।
হুজুরঃ আমাকে আত্মা দেখান এবং প্রমান করুন আপনি কয়বার আত্তাকে দেখেছেন ? আপনার বিবেক সহ আপনার মনও মাকে দেখান ? হয়তো বা আপনি
এগুলা দেখেছেন ?
মুফাঃ আরে হুজুর ......... মানে ইয়ে ইয়ে
ইয়ে ......। আচ্ছা হুজুর নাস্তিকরা মুসলমান
দের ব্যঙ্গ করে বলে যে ", আমরা
নাকি নাস্তিক (যদিও সে এখন আস্তিক)এর তৈরী করা ফেবু ব্যবহার করি কেন???"
হুজুরঃ আচ্ছা আচ্ছা আপনারা
যে Youtube এ ভিডিও দেন তার প্রতিষ্ঠাতা
৪ জনের মধ্যে একজন মুসলমান। তাহলে
তার তৈরী করা Utube কেন ব্যাবহার করেন??
নাস্তিকঃ eror
(সংলাপ ৭) শয়তান_কি_আল্লাহর_পরিকল্পনা_মোতাবেক_সৃষ্টি
শয়তান_কি_আল্লাহর_পরিকল্পনা_মোতাবেক_সৃষ্টি? ========================
চশমাটা চোখে পরতে পরতে
স্যার আমাদের জিজ্ঞেষ করলেন, 'আচ্ছা
তোমরা শয়তানকে চিনো?' ক্লাশের সবাই চুপ কোন জবাব নেই।
স্যার আবার বললেন,
'আমি ইসলাম ধর্মের শয়তান নামিক একটা মিথ-যার নায়ক শয়তান তাঁর কথা
বলছি। এবারতো
চিনেছো?' তোমরা কী জানো?
শয়তান বিষয়ে ইসলামি ব্ক্তব্য ভুলভাল এবং স্ববিরোধী? একটু মাথা খাটালেই তা বোঝা যায়।
জ্বী স্যার চিনেছি,
কিন্তু সেটা মিথ নয় আর স্ববিরোধী বা ভুলভাল কোন বক্তব্য'ও নয়।- আমাদের
জবাব।
স্যার মুখচুক ব্যাঁকা
করে বললেন, 'আসছি সেই বিষয়ে দাঁড়াও;
এতো তারাহুরা কেন? আজ সব প্রমান দিয়ে ভুল
ধরিয়ে দিবো বাঁছাধোনেরা।
স্যারের আবার একটা পুরাতন
অভ্যাস আছে। যে,
যদি কোন বিষয় তাঁর কাছে তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনে হয়। তাহলে সে ভাবটা উনার চেহারায়
ফুটে উঠে। কিভাবে?
-কারন তখন মুখ ব্যাঁকা-চোকা করে সে বিষয়ের উপর কথা বলেন।
একদিন সাইফুল স্যারেরর
মুখে উনার এবিষয় নিয়ে মন্তব্য শুনেছিলাম।
'উনার এই বদভ্যাস'টা নাকি ছোট থেকেই আছে। একবার
হয়েছিল কি, উনাদের গ্রামের বাড়িতে
বন্ধুবান্ধব মিলে একটা প্রোগ্রাম করেছিল। প্রোগ্রামটা হল এই যে,
পাশের বাড়ি থেকে মুরগীচুরি করে খিচুরি খাবে। স্যার ছিলেন,
খুব সাহসী এবং হাতমার টাইপের ছেলে। ব্যাস একাই চলে গেলেন
চুরি করতে। তারপর
আর কি ওইদিন রাতে উনার আর কোন খোঁজ-খবর পাওয়া যায়নি। পরদিন মুরগীর খোপলা থেকে
উনাকে আবিস্কার করল গ্রামবাসী। গ্রামের
সবার ভাষ্যমতে উনাকে ভুতে ধরেছিল। সে
থেকেই নানান রকম বদভ্যাসের নায়ক তিনি। সে
যাগগিয়ে ওসব জেনে আর লাভ নেই।
স্যার এবার উনার মাথাটাকে
দুই-তিন বার ঝাঁকাইলেন। মনে
হলো যেন মাথায় কিছু একটা বসে আছে। সেটাকে
ঝাঁরা দিচ্ছেন। কিন্তু
না কিছুই দেখতে পেলামনা।
অতঃপর স্যার বলতে শুরু
করলেন,
'ভাল কথা তোমাদের মুফতি
সাব কোথায়? শুনেছি উনি নাকি তোমাদের মাঝে বয়ান-টয়ান রাখেন। তাই ভাবলাম আমিও কিছু
জিজ্ঞাষা-টিজ্ঞাষা করি।'
উনি যে,
আজ সাদাতকে নিয়ে টানাহিঁচরা করবেন। তা বুঝতে আমার তিল পরিমান
বাকী রইল না। কারন
সাদাতকে উনি 'মুফতি' 'হুজুর' এসব পদবী দিয়ে রেখেছেন টিটকারি সরুপ। এমনিতেই ক'দিন আগে রিকশায় সাদাতের সাথে স্যারের ছোটখাটো বিতর্ক ঘটেছিল। সেদিন স্যার পরাজিত হয়েছিলেন। সেই শোধ'টাই আজ বোধহয় নিবেন। হয়তো
তেমন প্রস্তুতি গ্রহন করেই এসেছেন।
এবার স্যার,
সাদাতের সামনের জায়গারা দখল করে দাঁড়ালেনন এবং বললেন,
_'কী মুফতি সাব খবর কী
আপনার'?
ক্ল্যাশে একটা চাপাহাঁসির
শব্দের অবতারণা হল।
স্যারকে সামনে দাঁড়াতে
দেখে সাদাত বসা থেকে দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল,
_'জ্বী, স্যার আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি'।
_আচ্ছা মুফতি সাব আপনাকে
ইসলাম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন করব জবাব দিতে পারবেন তো?..
প্রশ্ন স্যারের।
_জ্বী স্যার ইনশাআল্লাহ
চেষ্টা করব।
_আচ্ছা তো বল মানুষের স্রষ্টা
কে?
_আল্লাহ।
_গাছপালা জীবজন্তু,
এসবের স্রষ্টা কে?
_আল্লাহ
_পাহার-পর্বত নদী-নালার
স্রষ্টা?
_স্যার এসবের স্রষ্টাও
আল্লাহ।
_আচ্ছা তো আপনার ভাষ্যমতে
পৃথিবীতে যাবতিয় সকল কিছুরই স্রষ্টা 'আল্লাহ'
তাইতো?
_জ্বী স্যার, সকল কিছুর স্রষ্টা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন।
_আচ্ছা শয়তান আমাদের কি
হয়? শত্রু তাইতো?
_জ্বী স্যার।
_আবার আল্লাহ বলেছেন
'শয়তান আমাদের মনে কুমন্ত্রনা দেয় তার থেকে বেঁচে থাকতে'। ঠিক..?
_জ্বী..
_Good,...তাহলে শয়তানতো
নিজে নিজে সৃষ্টি হয়নি, শয়তানের স্রষ্টা'ও তো আল্লাহ। এবং
সেটা উনার পরিকল্পনা মত সৃষ্টি হয়েছে তাই নয় কী?
তাহলে এখানে শয়তানের কি
দোষ? এগুলো কী স্ববিরোধী বক্তব্য নয়?
_এবার সাদাত ছোট একটা
হাসি দিয়ে বলল, 'জ্বী না স্যার শয়তানকে আল্লাহ সৃষ্টি করেননি'।
সাদাতের এই কথা শুনে আমি
বড় ধরনের শক খেলাম কি বলছে এই ছেলেটা। শুধু
আমি নয়, ক্ল্যাশের সবার চোখ
কপালে উঠার অবস্হা। সকলেই
ওর দিকে এমন ভাবে তাঁকিয়ে আছে মনে হচ্ছে যেন সে এই মাত্র মংগল গ্রহ থেকে ঝাঁপ দিয়ে
ক্লাশরুমে পরেছে।।
এদিকে স্যার চশমা চোখের
উপরে তুলে হা করে কিছুক্ষন সাদাতের দিকে তাঁকিয়ে রইলেন। আমি লক্ষ্য করলাম স্যারের
চোখটা খুশিতে ঝঁলমল করছে। উনি
হয়তো ভাবতে শুরু করে দিলেন, 'এইতো
কাজের কাজ হয়ে গেল; সাদাত বুঝি নাস্তিক হয়ে গেল'।
তারপর স্যার জিজ্ঞেষ করলেন,
_ 'সাদাত তুমি যা বলছ,
ঠিকমত ভেবেচিন্তে বলছো তো বাছা'?
_সাদাত হ্যাঁসূচক মাথা
নেরে বলল, 'জ্বী স্যার, আমি ভেবেচিন্তেই
বলছি,.. আল্লাহ শয়তানকে সৃষ্টি করেননি। বরং তিনি সৃষ্টি করেছেন
আযাযীল(বর্তমান শয়তানের পূর্বের নাম)-কে। আযাযীল
আবিস্কার করেছে শয়তানকে।'
সাদাতের এই জবাব শুনে
সবাই নড়েচড়ে বসল ঠিক কি বলতে চাইছে ছেলেটা।
স্যার এবার বিরক্তিপ্রকাশ
করে বলে উঠলেন,
_'কি বলতে চাও পরিস্কার
ভাবে বল। এতো
ত্যানা প্যাঁচাচ্ছো কেন? নাকি জবাব নেই,
তাই জ্বরেরপীড়া বকছ?'
হঠাৎ সাদাত,
ব্যাগ থেকে পানির বোতল বার করল। আমি মনে করলাম পানিটা
নিয়ে নিজের মাথায় ঢালবে কি-না। কিন্তু
না, সাদাত সিটের উপর বসে পড়ল,
দুইতিন ঢোক পানি খেয়ে নিল। তারপর দাঁড়া হয়ে বলতে
শুরু করল,
সর্বপ্রথম আমাদের বুঝতে
হবে যে 'শয়তান' কি জিনিষ; শয়তান কাকে বলে। শয়তান বলার উদ্দেশ্যই
বা কী?
মূলত শয়তান হল একটি সর্বচ্চ
লেভেলের পাপকর্মের 'উপাধী'। হ্যাঁ ঠিক তাই। ভাল কাজের যেমন ধাঁপ আছে। তদ্রুপ মন্দ,
পাপ/গোনাহ কর্মের'ও ধাঁপ আছে। সেই ধাপেরই সর্বচ্চ লেভেলের
নাম হল 'শয়তান'।
আজকে আমরা যাকে শয়তান
নামে চিনি। তাঁর
প্রকৃত নাম হল 'আযাযিল'। তাকে ফেরেস্তাদের একটি
দল জীনদের মহল্লা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিল। এবং তাকে লালন-পালন করে
ফেরেস্তারাই বড় করেছিল। এক
সময় আযাযিল প্রচুর ইবাদত করত। যার
দড়ুন সে ফেরেস্তাদের মর্যাদায় আসিন হয়।
অতঃপর ধীরে ধীরে আযাযিলের(শয়তান)
মনে অহংকারের অবতারণা হয়। এমতাবস্থায়
সে একসময় আল্লাহর হুকুম চরম ভাবে অবমাননা করে বসে। আল্লাহর নাফরমানি করে
বসে; আল্লাহ সত্তা-কে খুব কাছ থেকে পরখ
করার পরেও, সে আল্লাহর বিরোধীতা করে বসে। আল্লাহকে অবজ্ঞা করে বসে।
এজন্যই সে অভিশপ্ত হয়ে
'শয়তান'-নামে উপাধীপ্রাপ্ত হয়েছে।
তাছারা শয়তান শুধু জিনেদের
মধ্যে নয়; মানুষদের মধ্যে হতেও
শয়তান উপাধীপ্রাপ্ত ব্যাক্তি আছেন। যেমন
সুরা নাস-এ উল্লেখ হয়েছেঃ
"যে কুমন্ত্রণা দেয়
মানুষের অন্তরে। জ্বিনের
মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।" [ সুরা
নাস ১১৪:৬ ]
আল্লাহ পাক
'মানুষ' এবং 'জিন'
জাতীকে স্বইচ্ছাধীন.. চিন্তা-চেতনা, ভাবনা/চলার
মত করে সৃষ্টি করেছেন। এরা
উভয়জাতীর-ই,.. মন্দ এবং ভালো'র পার্থক্য বোঝার মত জ্ঞান-বিবেক আছে। মানুষ ও জিন যা কিছু কার্য্য
সম্পাদন করে; তা জ্ঞান, বুুদ্ধি, বিবেক দিয়ে যাচাই-বাছাই করেই করে থাকে। স্রষ্টা(আল্লাহ) জোর করে
কোন কিছু করান না। ইচ্ছাশক্তিধারী
এসব সৃষ্টি যা করে তাদেরই কর্মের ফল, ভাল
করলে ভাল ফল। মন্দ
করলে মন্দ ফল। কারন
আল্লাহ মানুষ ও জিনদের ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ জিন ও মানুষকে
ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন। এজন্যই
বললাম, 'শয়তানকে আল্লাহ সৃষ্টি করেননি। বরং তিনি আযাযিলকে সৃষ্টি
করেছেন, আযাযিল নিজের ইচ্ছাশক্তি
দ্বারা পাপকর্মের দড়ুন 'শয়তানে' বিবর্তিত
হয়েছে'।
আশা করি সকলে বিষয়টা ক্লিয়ার
হয়েছেন ইনশাআল্লাহ। বলেই
হাস্যরত মুখে দাঁড়িয়ে রইল সাদাত।
--এই বলে সাদাত তাঁর বক্তব্য
শেষ করল। আমি
যে মুখ 'হা' করে সাদাতের দিকে তাকিয়ে রয়েছি; তা এতোক্ষন বুঝতেই
পারলাম না। এই
মাত্র সেই উপলদ্ধীতা হল। ওমনিই
মুখটা বন্ধ করলাম। আর
মনে মনে ভাবলাম যাকগে ভালই হল। এতোদিন
আমার মনে'ও এই বিষয়ে সংশয় ছিল;
আজ মনটা শীতল হল আলহামদুলিল্লাহ।
ক্লাশে তখন একটা হাততালির
রোল পরে গেল। রাতুল
দা' দীপক এবং তাদের সাংগু-পাংগু আরো
স্যাকুলার পনা'গন যারা আছে তাঁরা মাথানিচু করে বসে রইল। স্যারের মুখটা ছিল দেখার
মত। স্যার
বললেন, 'হ্যাঁ বুঝেছি,' বলেই আর কোন কথা না বাড়িয়ে সোঁজা ক্লাশ থেকে বেড়িয়ে পরলেন। এরপর তিন দিন স্যারের
আর কোন খোঁজখবর পাওয়া যায় নি।...
#সাদাত
#সংশয়বাদী #সিরিজ(গল্প-৮)
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.