কবরের শাস্তি প্রয়োগ কি অযৌক্তিক ?

কবরের শাস্তি প্রয়োগ কি অযৌক্তিক ?
লেখকঃ মোঃ নিয়ামত আলী
আমি জানতে চাই
দেশে অনেকের কবর খুড়ে লাশ পাওয়া যায় না
পাওয়া যায় শুধু হাড় তাহলে শাস্তিটা কি ভাবে হয় যদি বলেন তাহলে বেশ উপকৃত হব

উত্তরঃ এইসব প্রশ্ন খুবই সহজ আসলে নাস্তিকদের সকল প্রশ্নই হাস্যকর আপনি শুদু একটু কমন সেন্স খাটালেই সকল প্রশ্নের জবাব দিতে সক্ষম ।
আসুন প্রশ্নের দিকে যাই
কবরের শাস্তি কার হুকুমে হয় ? আল্লাহর ।আমরা জানি আল্লাহ গোপন সব কিছুই করতে সক্ষম এমন কি কবরে গোপন রেখে মানুষকে শাস্তি দেওয়াও আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ ।
ধরেন আপনি দুপুরে ঘুমিয়ে আছেন । সপ্নে দেখছেন আপনি এক বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতেই এক বড় বিশাল সাপ আপনাকে খাওয়ার জন্য আপনার দিকে আসছে এই অবস্থায় আপনি ভয়ে অস্থির বাচার রাস্তা নাই । হটাত আপনার ঘুম ভেঙ্গে গেল আপনার মাথায় ঘামে বিজে গেছে । পাশে আপনার স্ত্রী আপনাকে দেখে সেও অবাক কি হল তোমার এভাবে ভয় পেলে কে !!!
আপনি ভাবুন আপনি সপ্নে সব দেখেছেন অথচ আপনার স্ত্রী পাশে বসে কিছুই বুঝতে পারেনি তাহলে যেই আল্লাহ আপনাকে সপ্নে বিশাল সাপ এর ভয় আপনাকে দেখাতে পারল আপনার স্ত্রীকে পাশে রেখে সেই আল্লাহ কেন কবরে সবাইকে না দেখিয়ে শাস্তি দিতে পারবে না । অবশ্যই পারবে ।
এ উম্মতের পূর্বলোক (সালাফ) এবং ইমামদের মাযহাব হলো, যখন কোনো ব্যক্তি মারা যায় তখন সে তার ঈমান ও আমল অনুযায়ী শান্তি বা শাস্তিতে থাকে। আর তা শরীর এবং রূহ উভয়েরই ঘটবে। রূহ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পর তা হয় শান্তিপ্রাপ্ত না হয় সাজাপ্রাপ্ত হবে। কখনো অল্প সময়ের জন্য সাজা দিয়ে তা শান্তিতে পরিণত করে দেওয়া হবে যদি সে পাপ হতে পবিত্র হয়ে যায়। কখনো রূহ শরীরের সাথে মিলিত হলে তখন শরীরের সাথে রূহেরও শান্তি বা শাস্তি ভোগ করতে হবে।সুতরাং কবর হয় জান্নাতের বাগিচা না হয় জাহান্নামের গুহা। যে কেউ মারা যাওয়ার পর যদি শাস্তি বা শান্তির হকদার হয়, তবে সে তার পুরোপুরি অংশ পাবে, তাকে কবর দেওয়া হোক বা না হোক। আল্লাহ তা‘আলাই শ্রষ্টা, উদ্ভাবক এবং প্রত্যেক জিনিসের ওপর ক্ষমতাবান। অতঃপর যখন মহা প্রলয়ের দিন আসবে তখন রূহ শরীরে ফিরিয়ে দেওয়া হলে তারা তাদের কবর থেকে তাদের রবকে হিসাব দেওয়ার জন্য এবং প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য উঠে দাঁড়াবে। [সূত্র : মাজমুআ ফাতওয়া ৪/২৮৪ ও আর রূহ পৃষ্ঠা নং ৩৩২-৩৩৩]

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.