কুরআন মানবতার আয়াত সমূহ
হে আমার নাস্তিক ভাই কুরান জীবনে পরেছ?
*********কথা বলার ক্ষেত্রে কুরআন আমাদের যা শিখায় ?
1) যে কোন মানুষের সাথে কথা বলার সময় ভদ্র, মার্জিত ভাবে কথা বলবে ➯ ২:৮৩
2) কোনো ভণিতা না করে, ধোঁকা না দিয়ে, যা বলতে চাও পরিস্কার করে বলবে ➯ ৩৩:৭০
3) চিৎকার করবে না, কর্কশ ভাবে কথা বলবে না, নম্র ভাবে কথা বলবে ➯ ৩১:১৯
4) মনের মধ্যে যা আছে সেটাই মুখে বলবে– ৩:১৬৭
5) ফালতু কথা বলবে না এবং অন্যের ফালতু কথা শুনবে না। যারা ফালতু কথা বলে, অপ্রয়োজনীয় কাজ করে সময় নষ্ট করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে ➯ ২৩:৩, ২৮:৫৫
6) কাউকে নিয়ে উপহাস করবে না, টিটকারি দিবে না, ব্যঙ্গ করবে না ➯ ৪৯:১০
7) অন্যকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে না, কারো মানহানি করবে না ➯ ৪৯:১০
8) কাউকে কোন বাজে নামে ডাকবে না। ➯ ৪৯:১০
9) কারো পিছনে বাজে কথা বলবে না ➯ ৪৯:১২
10) যাদেরকে আল্লাহ বেশি দিয়েছেন, তাদেরকে হিংসা করবে না, সে যদি তোমার নিজের ভাই-বোনও হয় ➯ ৪:৫৪
11) অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে। কথার চেয়ে কাজের প্রভাব বেশি ➯ ২:৪৪
12) কখনও মিথ্যা কথা বলবে না ➯ ২২:৩০
13) সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঘোলা করবে না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করবে না ➯ ২:৪২
14) যদি কোনো ব্যপারে তোমার সঠিক জ্ঞান না থাকে, তাহলে সে ব্যপারে মুখ বন্ধ রাখো। তোমার মনে হতে পারে, এসব সামান্য ব্যপারে সঠিকভাবে না জেনে কথা বললে অত সমস্যা নেই। কিন্তু তুমি জানো না, সেটা হয়ত আল্লাহর কাছে কোনো ভয়ঙ্কর ব্যপার ➯ ২৪:১৪, ২৪:১৬
15) মানুষকে বিচক্ষণভাবে, মার্জিত কথা বলে আল্লাহর পথে ডাকবে। তাদের সাথে অত্যন্ত ভদ্র, শালীনভাবে যুক্তি তর্ক করবে ➯ ১৬:১২৫।
*************কুরআন আমাদের কিভাবে ব্যাবহার করতে শিখায় ?
1) মার্জিত পোশাক পড়বে, সুন্দর আচরণ করবে ➯ ৭:২৬
2) মার্জিত পোশাক পড়ে প্রার্থনা করবে, সেটা যেখানেই হোক না কেন ➯ ৭:৩১
3) দরকারের বেশি খাবার খাবে না, পান করবে না ➯ ৭:৩১
4) নিজেই নিজের গুণ জাহির করে অন্যকে মুগ্ধ করার চেষ্টা করবে না ➯ ৫৩:৩২
5) কারো সাথে ফুটানি করবে না, নিজেকে নিয়ে গর্ব করবে না– ৩১:১৮
6) দেমাক দেখিয়ে চলাফেরা করবে না ➯ ১৭:৩৭
7) তাড়াহুড়া করবে না, ধীরে সুস্থে চলাফেরা করবে ➯ ৩১:১৯
8) বিনয়ের সাথে চলাফেরা করবে ➯ ২৫:৬৩
9) বেশি সন্দেহ করবে না, কিছু সন্দেহ আছে যেটা করা গুনাহ। আন্দাজে ঢিল মারবে না। একে অন্যের উপর গুপ্তচরগিরি করবে না ➯ ৪৯:১২
10) কাউকে জিজ্ঞেস না করে এবং সুন্দর সম্ভাষণ না জানিয়ে তার ঘরে কখনও ঢুকে পরবে না ➯ ২৪:২৭
11) কারো সাথে দেখা হলে তাকে সুন্দরভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। কেউ তোমাকে সম্ভাষণ জানালে তাকে তার থেকে আরও ভালভাবে সম্ভাষণ জানাবে, সালাম দিবে। যদি সেটা না পারো, অন্তত সে যেভাবে জানিয়েছে, সেভাবে জানাবে ➯ ৪:৮৬
12) যখন তুমি নিজের ঘরে আসবে বা অন্য কারো ঘরে যাবে, ঘরে যারা আছে তাদেরকে সুন্দর সম্ভাষণ জানাবে এবং তাদের জন্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে ➯ ২৪:৬১
13) কেউ ভুলে দোষ করে ক্ষমা চেলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে তাকে আগ্রহ নিয়ে, কোনো রাগ চেপে না রেখে ক্ষমা করে দিবে ➯ ৬:৫৪, ৩:১৩৪
14) অজ্ঞ, বর্বর, বিপথগামী লোকজন অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা, খামোখা যুক্তিতর্ক করতে গেলে তাদেরকে সালাম/শান্তি বলে সরে যাবে– ২৫:৬৩।
************কোরআনের আমাদের কেমন নৈতিকতা শিখায় ?
1) যারা আল্লাহর বাণীকে গুরুত্ব দেয় না, তা নিয়ে অবহেলা করে, হাসি ঠাট্টা করে তাদের কাছ থেকে সরে যাবে ➯ ৬:৭০
2) যতক্ষণ না তারা অন্য প্রসঙ্গে কথা না বলে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের সাথে বসবে না, যাতে করে তুমিও তাদের মত হয়ে না যাও ➯ ৪:১৪০
3) নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে আগে ঠিক কর, অন্যদেরকে ঠিক করার আগে ➯ ৬৬:৬
4) কারো কোনো উপকার করলে, তা তাকে মনে করিয়ে দিয়ে কষ্ট দিবে না ➯ ২:২৬২
5) কারো উপকার করলে তার বিনিময়ে তার কাছ থেকে কোনো উপকার, এমনকি ধন্যবাদও আশা করবে না ➯ ৭৬:৯
6) কাউকে কথা দিলে অবশ্যই কথা রাখবে। তোমার প্রত্যেকটা অঙ্গীকারের ব্যপারে তোমাকে জিজ্ঞেস করা হবে ➯ ১৭:৩৪
7) যারা ভালো কাজ করছে, তাদেরকে ভালো কাজে সাহায্য করবে, উৎসাহ দিবে, তাদের সাথে ভালো কাজে যোগ দিবে। যারা খারাপ কাজ করে তাদেরকে কোনো ধরণের সাহায্য করবে না ➯ ৫:২
8) যারা ফাজলেমি, ছ্যাবলামি করে তাদের কাছ থেকে নিজের সন্মান বজায় থাকতে সরে যাবে ➯ ২৫:৭২
9) নোংরামি, অশ্লীল কাজের ধারে কাছেও যাবে না, সেটা গোপনে হোক, আর প্রকাশ্যে ➯ ৬:১৫১
10) বিপরীত লিঙ্গের প্রতি দৃষ্টি নত রাখো, কাম দৃষ্টি নিয়ে তাকাবে না, একপলকের জন্যও নয় ➯ ২৪:৩০, ২৪:৩১, ৪০:১৯
11) কারো সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনলে তার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখো, যতক্ষণ পর্যন্ত না তুমি তার সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পাচ্ছ। অন্যদেরকে নির্দোষ হিসেবে নিবে, যতক্ষণ না তার দোষ প্রমাণিত হয় ➯ ২৪:১২
12) দুষ্ট, খারাপ কেউ তোমাকে কোনো খবর দিলে সেটা ভালো করে যাচাই করে নিশ্চিত হও, যাতে করে তুমি এমন কিছু করে না ফেলো, যার জন্য তোমাকে পরে পস্তাতে হয় ➯ ৪৯:৬
13) তোমার যা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান নেই, তা অন্ধ অনুসরণ করবে না, কারণ আল্লাহর আদালতে তোমার দৃষ্টি, শ্রবণ এবং হৃদয় —এই সব কিছুর বিচার করা হবে ➯ ১৭:৩৬
14) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে ➯ ৯:১০৮, ৪:৪৩, ৫:৬
15) ঘুষ খাবে না এবং ঘুষ দিবে না ➯ ২:১৮৮
16) অন্যের টাকা-পয়সা, সম্পত্তি জেনে শুনে অন্যায় ভাবে দখল করবে না ➯ ২:১৮৮
17) নিজের সম্পত্তি অন্যায় ভাবে ভোগ করবে না ➯ ২:১৮৮
18) অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, সংস্থানের জন্য যাদের আনুগত্য করছ, তাদের কোনো ক্ষমতাই নেই তোমাকে কিছু দেবার, শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাও– ২৯:১৭।
কোরআনের বাণী (পারিবারিক ও আত্মীয় সম্পর্ক)
1) কথা বলার সময় কারও পক্ষপাতিত্ব করবে না, সেটা যদি নিকট আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও হয় ➯ ৬:১৫২
2) বাবা-মার সব ব্যাপারে সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবস্থা নিবে ➯ ২:৮৩। বাবা-মার সাথে সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, ব্যবহার করবে ➯ ৪:৩৬
3) খাবারের দাওয়াত পেলে যখন যেতে বলেছে, তখনই যাবে, বেশি আগে যাবে না। খাওয়া হয়ে গেলে দেরি না করে চলে আসবে, যাতে তাদের অসুবিধা না হয় ➯ ৩৩:৫৩
4) কাছের আত্মীয়দের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখবে ➯ ২:৮৩, ৪:৩৬
5) এতিম এবং অভাবী মানুষদেরকে সাহায্য করবে ➯ ২:৮৩, ৪:৩৬
6) বন্ধু এবং প্রতিবেশীদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে ➯ ৪:৩৬
7) বিপদে পড়া পথিক-যাত্রীদেরকে সাহায্য করবে ➯ ৪:৩৬
8) যারা তোমার অধীনে কাজ করে এবং দাস-দাসি বা কাজের লোকদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে ➯ ৪:৩৬।
*********কোরআনের সত্যবাদিতা বিষয়ে আমাদের কি বলে ?
–قُلْ إِنْ كانَتْ لَكُمُ الدَّارُ الْآخِرَةُ عِنْدَ اللَّهِ خالِصَةً مِنْ دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ
.
.
‘তুমি বল, যদি অপর ব্যক্তিগণ অপেক্ষা বিশেষভাবে শুধু তোমাদের জন্যে আল্লাহর নিকট বাসস্থান থাকে, তবে তোমারা মৃত্যু কামনা কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’ (বাক্বারাহ ২/৯৪)।
২ –وَقالُوا لَنْ يَدْخُلَ الْجَنَّةَ إِلَّا مَنْ كانَ هُوداً أَوْ نَصارى تِلْكَ أَمانِيُّهُمْ قُلْ هاتُوا بُرْهانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘এবং তারা বলে, যারা ইহুদী ও খ্রীষ্টান তারা ছাড়া আর কেউই জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এটাই তাদের বাসনা। তুমি বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর’ (বাক্বারাহ ২/১১১)।
৩–الَّذِينَ قالُوا لِإِخْوانِهِمْ وَقَعَدُوا لَوْ أَطاعُونا ما قُتِلُوا قُلْ فَادْرَؤُا عَنْ أَنْفُسِكُمُ الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘যারা গৃহে বসে স্বীয় ভ্রাতৃগণের সম্বন্ধে বলেছিল, যদি তারা আমাদের কথা মান্য করতো, তবে নিহত হতো না; তুমি বল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে নিজেদেরকে মৃত্যু হতে রক্ষা কর’ (আলে-ইমরান ৩/১৬৮)।
4– قُلْ أَرَأَيْتَكُمْ إِنْ أَتاكُمْ عَذابُ اللَّهِ أَوْ أَتَتْكُمُ السَّاعَةُ أَغَيْرَ اللَّهِ تَدْعُونَ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘তুমি (হে মুহাম্মাদ ছাঃ) তাদেরকে বল, তোমরা চিন্তা করে দেখ যে, যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর শাস্তি এসে পড়ে অথবা তোমাদের নিকট ক্বিয়ামত এসে উপস্থিত হয় তখনও কি তোমরা আল্লাহকে ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে’ (আন‘আম ৬/৪০)।
৫- قالُوا أَجِئْتَنا لِنَعْبُدَ اللَّهَ وَحْدَهُ وَنَذَرَ ما كانَ يَعْبُدُ آباؤُنا فَأْتِنا بِما تَعِدُنا إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ .
‘তারা বলল, তুমি কি আমাদের নিকট শুধু এই উদ্দেশ্যে এসেছ, যেন আমরা একমাত্র আল্লাহরই ইবাদত করি এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণ যাদের ইবাদত করতো তাদেরকে বর্জন করি? তাহলে তুমি তোমার কথা ও দাবীতে সত্যবাদী হলে আমাদেরকে যে শাস্তির ভয় দেখাচ্ছ তা আনয়ন কর’ (আ‘রাফ ৭/৭০)।
৬- وَيَقُولُونَ مَتى هذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ – قُلْ لا أَمْلِكُ لِنَفْسِي ضَرًّا وَلا نَفْعاً إِلَّا ما شاءَ اللَّهُ لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ إِذا جاءَ أَجَلُهُمْ فَلا يَسْتَأْخِرُونَ ساعَةً وَلا يَسْتَقْدِمُونَ .
‘আর তারা বলে, আমাদের এই অঙ্গীকার কখন সংঘটিত হবে? যদি তোমরা সত্যবাদী হও’। ‘তুমি বলে দাও, আমি তো আমার নিজের জন্যে কোন উপকার বা ক্ষতির অধিকারী নই; তবে যতটুকু আল্লাহ চান। প্রত্যেক উম্মতের জন্যে একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, যখন তাদের সেই নির্দিষ্ট সময় এসে পৌঁছে, তখন তারা মুহূর্তকাল না পশ্চাদপদ হতে পারবে, আর না অগ্রসর হতে পারবে’ (ইউনুস ১০/৪৮-৪৯)।
৭- أَمْ يَقُولُونَ افْتَراهُ قُلْ فَأْتُوا بِعَشْرِ سُوَرٍ مِثْلِهِ مُفْتَرَياتٍ وَادْعُوا مَنِ اسْتَطَعْتُمْ مِنْ دُونِ اللَّهِ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘তবে কি তারা বলে যে, ওটা (কুরআন) সে নিজেই রচনা করেছে? তুমি বলে দাও, তাহলে তোমরাও ওর অনুরূপ রচিত দশটি সূরা আনয়ন কর এবং আল্লাহ ছাড়া যাকে যাকে পার ডাক যদি তোমরা সত্যবাদী হও’ (হূদ ১১/১৩)।
8- خُلِقَ الْإِنْسانُ مِنْ عَجَلٍ سَأُرِيكُمْ آياَتِي فَلا تَسْتَعْجِلُونِ, , وَيَقُولُونَ مَتى هذَا الْوَعْدُ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘মানুষ সৃষ্টিগতভাবে ত্বরাপ্রবণ, আর শীঘ্রই আমি তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব; সুতরাং তোমরা আমাকে তাড়াতাড়ি করতে বলো না’। আর তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল, এই প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হবে?’ (আম্বিয়া ২১/৩৭-৩৮)।
9- أَمَّنْ يَبْدَؤُا الْخَلْقَ ثُمَّ يُعِيدُهُ وَمَنْ يَرْزُقُكُمْ مِنَ السَّماءِ وَالْأَرْضِ أَإِلهٌ مَعَ اللَّهِ قُلْ هاتُوا بُرْهانَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘কে তিনি, যিনি সৃষ্টির সূচনা করেন, অতঃপর ওর পুনরাবৃত্তি করেন এবং যিনি তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হতে রূযী দান করেন? আল্লাহর সাথে অন্য কোন মা‘বূদ আছে কি? বল, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে তোমাদের প্রমাণ পেশ কর’ (নামল ২৭/৬৪)।
10- قُلْ أَرَأَيْتُمْ ما تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَرُونِي ماذا خَلَقُوا مِنَ الْأَرْضِ أَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِي السَّماواتِ ائْتُونِي بِكِتابٍ مِنْ قَبْلِ هذا أَوْ أَثارَةٍ مِنْ عِلْمٍ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ .
‘বল, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তাদেরকে দেখছ কি? তারা পৃথিবীতে কি সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও অথবা আকাশ-মন্ডলীতে তাদের কোন অংশীদারিত্ব আছে কি? এর পূর্বে আসা কোন কিতাব অথবা জ্ঞানের কোন অবশিষ্ট থাকলে তা তোমরা আমার নিকট নিয়ে আস, যদি তোমরা সত্যবাদী হও’ (আহক্বাফ ৪৬/৪)।
11- قُلْ يا أَيُّهَا الَّذِينَ هادُوا إِنْ زَعَمْتُمْ أَنَّكُمْ أَوْلِياءُ لِلَّهِ مِنْ دُونِ النَّاسِ فَتَمَنَّوُا الْمَوْتَ إِنْ كُنْتُمْ صادِقِينَ –
‘হে নবী আপনি বলুন! হে ইহুদীগণ! যদি তোমরা মনে কর যে, তোমরাই আল্লাহর বন্ধু, অন্য কোন মানুষ নয়, তবে তোমরা মৃত্যু কামনা কর যদি তোমরা সত্যবাদী হও’ (জুম‘আ ৬২/৬-৭)।
12- يا أَيُّهَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتابَ آمِنُوا بِمَا نَزَّلْنا مُصَدِّقاً لِما مَعَكُمْ مِنْ قَبْلِ أَنْ نَطْمِسَ وُجُوهاً فَنَرُدَّها عَلى أَدْبارِها أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَما لَعَنَّا أَصْحابَ السَّبْتِ وَكانَ أَمْرُ اللَّهِ مَفْعُولًا .
‘হে আহলে কিতাবগণ! তোমাদের সঙ্গে যা আছে তার সত্যতা প্রমাণকারী যা অবতীর্ণ করেছি তৎপ্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর এর পূর্বে যে, আমি বহু মুখমন্ডল বিকৃত করে দেব, তৎপর তাদেরকে পৃষ্ঠের দিকে উল্টিয়ে দেব অথবা শনিবারওয়ালাদের মতো তাদের উপর অভিসস্পাত করব এবং আল্লাহর আদেশ সুসম্পন্ন হয়ে থাকে’ (নিসা ৪/৪৭)।
কোরআনের কি শিখায় (জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা)
মহান আল্লাহ তাআলাই মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন। আসুন দেখি জ্ঞানী ব্যক্তির সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআল কি বলেছনেঃ-
১.‘যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সিজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের ভীতিশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত কামনা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না। বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে যারা বুদ্ধিমান’(যুমার ৯)।
২.‘মানুষ, জন্তু ও চতুষ্পদ প্রাণীর মধ্যে বহু বর্ণ রয়েছে। আল্লাহর বান্দাদের মাঝে প্রকৃত জ্ঞানীরাই কেবল তাকে ভয় করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল’ (ফাতির ২৮)।
৩.‘তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়, সে প্রভূত কল্যাণকর বস্ত্ত প্রাপ্ত হয়। উপদেশ তারাই গ্রহণ করে যারা জ্ঞানবান’ (বাক্বারা ২৭৯)।
৪.‘তোমরা মান্য কর অথবা অমান্য কর, যারা পূর্ব থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে, যখন তাদের কাছে এর তেলাওয়াত করা হয়, তখন তারা নত মস্তকে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে’ (বনী ইসরাঈল ১০৭)।
৫.‘তিনি নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত, যদিও তারা ছিল ইতিপূর্বে পথভ্রষ্ট’(জুম‘আ ২)।
৬.‘যে ব্যক্তি জানে যে, যা কিছু পালনকর্তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নাযিল করা হয়েছে তা সত্য, সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে অন্ধ? তারাই বোঝে যারা বোধশক্তিসম্পন্ন’ (রা‘দ ১৯)।
৭.‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার ও যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উঁচু করে দিবেন। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ তা খবর রাখেন’ (মুজাদালাহ ১১)।
৮.‘এই (কুরআন) যাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদের অন্তরে সুস্পষ্ট নিদর্শন’। (আনকাবূত ৪৯)
৯.‘তোমাদেরকে খুব অল্পই জ্ঞানদান করা হয়েছে’ (ইসরা ৮৫)।
*****পবিত্র কোরআনের ১০০ মানবতার আয়াত দেখুন পড়ুন ।
(১) তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না। (সূরা বাকারা ২:৪২)
(২) সৎকার্য নিজে সম্পাদন করার পর অন্যদের করতে বলো। (সূরা বাকারা ২:৪৪)
(৩) পৃথিবীতে বিবাদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। (সূরা বাকারা ২:৬০)
(৪) কারো মসজিদ যাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করো না। (সূরা বাকারা ২:১১৪)
(৫) কারো অন্ধানুসরণ করো না। (সূরা বাকারা ২:১৭০)
(৬) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করো না। (সূরা বাকারা ২:১৭৭)
(৭) ঘুসে লিপ্ত হয়ো না। (সূরা বাকারা ২:১৮৮)
(৮) যারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করবে, শুধু তাদের সঙ্গে তোমরা লড়াই করো। (সূরা বাকারা ২:১৯০)
(৯) লড়াইয়ের বিধি মেনে চলো। (সূরা বাকারা ২:১৯১)
(১০) অনাথদের রক্ষণাবেক্ষণ করো। (সূরা বাকারা ২:২২০)
(১১) রজঃস্রাব কালে যৌনসঙ্গম করো না। (সূরা বাকারা ২:২২২)
(১২) শিশুকে পূর্ণ দুই বছর দুগ্ধপান করাও। (সূরা বাকারা ২:২৩৩)
(১৩) সৎগুণ দেখে শাসক নির্বাচন করো। (সূরা বাকারা ২:২৪৭)
(১৪) দ্বিনের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। (সূরা বাকারা ২:২৫৬)
(১৫) প্রতিদান কামনা করে দাতব্য বিনষ্ট করো না। (সূরা বাকারা ২:২৬৪)
(১৬) প্রয়োজনে তাদের সহযোগিতা করো। (সূরা বাকারা ২:২৭৩)
(১৭) সুদ ভক্ষণ করো না। (সূরা বাকারা ২:২৭৫)
(১৮) যদি ঋণী অভাবগ্রস্ত হয়, তবে তাকে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও। (সূরা বাকারা ২:২৮০)
(১৯) ঋণের বিষয় লিখে রাখো। (সূরা বাকারা ২:২৮২)
২০। আমানত রক্ষা করো। (সূরা বাকারা ২:২৮৩)
(২১) গোপন তত্ত্ব অনুসন্ধান করো না এবং পরনিন্দা করো না। (সূরা বাকারা ২:২৮৩)
(২২) সমস্ত নবির প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো। (সূরা বাকারা ২:২৮৫)
(২৩) সাধ্যের বাইরে কারো উপর বোঝা চাপিয়ে দিও না। (সূরা বাকারা ২:২৮৬)
(২৪) তোমরা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (সূরা আল-ইমরান ৩:১০৩)
(২৫) ক্রোধ সংবরণ করো। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৩৪)
(২৬) রূঢ় ভাষা ব্যবহার করো না। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৫৯)
(২৭) এই বিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করো। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৯১)
(২৮) পুরুষ ও নারী উভয়ই তাদের কৃতকর্মের সমান প্রতিদান পাবে। (সূরা আল-ইমরান ৩:১৯৫)
(২৯) মৃতের সম্পদ তার পরিবারের সদস্যসের মাঝে বন্টন করতে হবে। (সূরা নিসা ৪:৭)
(৩০) উত্তরাধিকারের অধিকার নারীদেরও আছে। (সূরা নিসা ৪:৭)
(৩১) অনাথদের সম্পদ আত্মসাৎ করো না। (সূরা নিসা ৪১০)
(৩২) যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক তাদের বিবাহ করো না। (সূরা নিসা ৪:২৩)
(৩৩) অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ ভক্ষণ করো না। (সূরা নিসা ৪:২৯)
(৩৪) পরিবারের উপর কর্তৃত্ব চালাবে পুরুষ। (সূরা নিসা ৪:৩৪)
(৩৫) অন্যদের জন্য সদাচারী হও। (সূরা নিসা ৪:৩৬)
(৩৬) কার্পণ্য করো না। (সূরা নিসা ৪:৩৭)
(৩৭) বিদ্বেষী হয়ো না। (সূরা নিসা ৪:৫৪)
(৩৮) মানুষের সাথে ন্যায়বিচার করো। (সূরা নিসা ৪:৫৮)
(৩৯) একে অপরকে হত্যা করো না। (সূরা নিসা ৪:৯২)
(৪০) বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষ নিয়ে বিতর্ক করো না। (সূরা নিসা ৪:১০৫)
(৪১) ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকো। (সূরা নিসা ৪:১৩৫)
(৪২) সৎকার্যে পরস্পরকে সহযোগিতা করো। (সূরা মায়িদা ৫:২)
(৪৩) সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। (সূরা মায়িদা ৫:২)
(৪৩) সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। (সূরা মায়িদা ৫:২)
(৪৪) মৃত পশু, রক্ত ও শূয়োরের মাংস নিষিদ্ধ। (সূরা মায়িদা ৫:৩)
(৪৫) সৎপরায়ণ হও। (সূরা মায়িদা ৫:৮)
(৪৬) অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও। (সূরা মায়িদা ৫:৩৮)
(৪৭) পাপ ও অবৈধ জিনিসের বিরুদ্ধে শ্রম ব্যয় করো। (সূরা মায়িদা ৫:৬৩)
(৪৮) মাদক দ্রব্য ও অ্যালকোহল বর্জন করো। (সূরা মায়িদা ৫:৯০)
(৪৯) জুয়া খেলো না। (সূরা মায়িদা ৫:৯০)
(৫০) ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্যদের গালমন্দ করো না। (সূরা মায়িদা ৫:১০৮)
(৫১) আধিক্য সত্যের মানদণ্ড নয়। (সূরা আন’আম ৬:১১৬)
(৫২) ওজনে কম দিও না। (সূরা আন’আম ৬:১৫২)
(৫৩) অহংকার করো না। (সূরা আ’রাফ ৭:১৩)
(৫৪) পানাহার করো, কিন্তু অপচয় করো না। (সূরা আ’রাফ ৭:৩১)
(৫৫) সালাতে উত্তম পোশাক পরিধান করো। (সূরা আ’রাফ ৭:৩১)
(৫৬) অন্যদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করো। (সূরা আ’রাফ ৭:১৯৯)
(৫৭) যুদ্ধে পশ্চাদমুখী হয়ো না। (সূরা আনফাল ৮:১৫)
(৫৭) যুদ্ধে পশ্চাদমুখী হয়ো না। (সূরা আনফাল ৮:১৫)
(৫৮) যারা নিরাপত্তা কামনা করছে তাদের সহযোগিতা করো ও নিরাপত্তা দাও। (সূরা তওবা ৯:৬)
(৫৯) পবিত্র থেকো। (সূরা তওবা ৯:১০৮)
(৬০) আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। (সূরা ইউসুফ ১২:৮৭)
(৬১) যারা অজ্ঞতাবশত ভুলত্রুটি করে আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে ক্ষমা করবেন। (সূরা নাহ্ল ১৬:১১৯)
(৬২) প্রজ্ঞা ও উত্তম নির্দেশনা দ্বারা আল্লাহ্ তাআলার প্রতি আহ্বাব করা উচিত। [সূরা নাহ্ল ১৬:১১৯]
(৬৩) কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। (সূরা ইসরা ১৭:১৫)
(৬৪) পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। (সূরা ইসরা ১৭:২৩)
(৬৪) পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো। (সূরা ইসরা ১৭:২৩)
(৬৫) পিতামাতাকে অশ্রদ্ধা করে কোনো কথা বলো না। (সূরা ইসরা ১৭:২৩)
(৬৬) অর্থ অপচয় করো না। (সূরা ইসরা ১৭:২৯)
(৬৭) দারিদ্রের আশঙ্কায় সন্তানসন্ততিকে হত্যা করো না। (সূরা ইসরা ১৭:৩১)
(৬৮) অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ো না। (সূরা ইসরা ১৭:৩২)
(৬৯) যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তার অনুবর্তী হয়ো না। (সূরা ইসরা ১৭:৩৬)
(৭০) শান্তভাবে কথা বলো। (সূরা ত্বা-হা ২০:৪৪)
(৭১) অনর্থ জিনিস থেকে দূরে থেকো। (সূরা মু’মিনুন ২৩:৩)
(৭২) অনুমতি ছাড়া কারো গৃহে প্রবেশ করো না। (সূরা নূর ২৪:২৭)
(৭৩) যারা শুধু আল্লাহ্ তাআলার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দেন। (সূরা নূর ২৪:৫৫)
(৭৪) বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। (সূরা নূর ২৪:৫৮)
(৭৪) বিনা অনুমতিতে পিতামাতার ব্যক্তিগত ঘরে প্রবেশ করো না। (সূরা নূর ২৪:৫৮)
(৭৫) বিনয় সহকারে ভূপৃষ্ঠে বিচরণ করো। (সূরা ফুরকান ২৫:৬৩)
(৭৬) এই পৃথিবীতে তুমি তোমার অংশকে উপেক্ষা করো না। (সূরা কাসাস ২৮:৭৭)
(৭৭) আল্লাহ্র সাথে অন্য কোনো বাতিল উপাস্যকে ডেকো না। (সূরা কাসাস ২৮:৮৮)
(৭৮) সমকামিতায় লিপ্ত হয়ো না। [সূরা আন্কাবুত ২৯:২৯]
(৭৯) সৎকার্যের আদেশ করো এবং অসৎকার্য হতে নিষেধ করো। (সূরা লোকমান ৩১:১৭)
(৮০) দম্ভভরে ভুপৃষ্ঠে বিচরণ করো না। (সূরা লোকমান ৩১:১৮)
(৮১) কণ্ঠস্বর অবনমিত রেখো। (সূরা লোকমান ৩১:১৯)
(৮২) নারীরা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। (সূরা আহ্যাব ৩৩:৩৩)
(৮৩) আল্লাহ্ তাআলা যাবতীয় পাপ মোচন করে দিতে পারেন। (সূরা যুমার ৩৯:৫৩)
(৮৪) আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়ো না। (সূরা যুমার ৩৯:৫৩)
(৮৫) ভালো দ্বারা মন্দ প্রতিহত করো। (সূরা হা-মিম সাজদা ৪১:৩৪)
(৮৬) যেকোনো বিষয়ে পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নাও। (সূরা শূরা ৪২:৩৮)
(৮৭) মানুষের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করো। (সূরা হুজরাত ৪৯:৯)
(৮৮) কাউকে পরিহাস করো না। (সূরা হুজরাত ৪৯:১১)
(৮৮) কাউকে পরিহাস করো না। (সূরা হুজরাত ৪৯:১১)
(৮৯) সন্দেহ থেকে বিরত থেকো। (সূরা হুজরাত ৪৯:১২)
(৯০) পরনিন্দা করো না। (সূরা হুজরাত ৪৯:১২)
(৯১) সবচেয়ে আল্লাহ্ভীরু ব্যক্তি সবচেয়ে সম্মানীয়। (সূরা হুজরাত ৪৯:১৩)
(৯২) অতিথির সম্মান করো। (সূরা যারিয়াত ৫১:২৬)
(৯৩) দাতব্যকার্যে অর্থ ব্যয় করো। (সূরা হাদিদ ৫৭:৭)
(৯৪) দ্বিনের মধ্যে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই। (সূরা হাদিদ ৫৭:২৭০
(৯৫) জ্ঞানীজনকে আল্লাহ্ তাআলা সুউচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করবেন। (সূরা মুজাদালাহ্ ৫৮:১১)
(৯৬) অমুসলিমদের সাথে সদয় ও ন্যায় আচরণ করো। (সূরা মুমতাহিনাহ্ ৬০:৮)
(৯৭) লোভ-লালসা থেকে সুরক্ষিত থেকো। (সূরা তাগাবুন ৬৪:১৬)
(৯৮) আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। তিনি মহাক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সূরা মুযযাম্মিল ৭৩:২০)
(৯৯) ভিক্ষুককে ধমক দিও না। (সূরা যুহা ৯৩:১০)
(১০০) অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান করো। (সূরা মা’ঊন ১০৭:৩)
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.