নারী সম্পর্কে নাস্তিকদের কিছু অভিযোগের জবাব লিখেছেন ফাউজিয়া ফারিয়া হক
আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা’আলার। আল্লাহর নামে শুরু করছি।
ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে মুক্তমনা, সেকুলাররা বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলেন ইসলামে নারীদের অধিকার দেয়া হয় নি উল্টে অসম্মান করা হয়েছে৷
আসলে প্রত্যেক কাফের, ইসলাম বিদ্বেষী ও সেকুলারদের মুখে মুখে এই বিষয় নিয়ে হাসাহাসি ও করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে তারাই হাদীসের নামে জালিয়াতি করে এবং কুরআনের আয়াতের নামে অপব্যাখ্যা করে এক হুলস্থূল কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলে। এতে করে তাদের ফায়দা হয় ইসলামকে সবার সামনে ভূল রূপে প্রকাশ করতে পারার মাধ্যমে অনেক মুসলিমের ঈমান ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে।।
কী অবাক হচ্ছেন তাই তো
হওয়াটাই স্বাভাবিক, বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম কেবল নামে মুসলিম কাজে নয়। অর্থাৎ ইসলামের জ্ঞান কুরআন সম্পর্কে অধিকাংশ মুসলিমই দূরে অবস্থিত। এটা আমার ব্যার্থতা, আপনার ব্যার্থতা, আমাদের সকলের জন্য ব্যার্থতা।
আর ঠিক সেই মোক্ষম সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সুবিধা হাসিল করে নিতে ব্যস্ত ইসলামের বিরুদ্ধে কুচক্রীরা। যদিও আপনি দেখবেন তাদের কথায় আচরণে বোঝার উপায় নেই তাদের ভিতরের অবস্থা। কারণ তারা এমনই ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করে যা মূলত এই পৃথিবীর বড় বড় বিখ্যাত সার্জনদের পক্ষেও সম্ভব নয়।
হাসছেন
না, হাসির কথা নয়। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব আর এটাই হচ্ছে। যা প্রতিনিয়ত ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নারীরা এতে প্রভাবিত বেশি হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু এটা ঠিক যে নারীদের মনকে ক্যাপচার করে নেয়া অতি সহজসাধ্য।
এমনভাবে তাদেরকে প্ররোচিত করে যেন ছোট বাচ্চাদেরকে যেরকম ভাবে ইনিয়েবিনিয়ে গল্প বলে বলে বা খেলার ছলে ভাত খাওয়ানো হয়। ঠিক অনেকটা সেরকম ভাবেই আস্তে আস্তে উলটাপালটা বুঝায়। খানিকটা এরকম ভাবেও বলা যায় – ওষুধের মধ্যেই বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। যার প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে রোগীর মধ্যে দেখা যায়৷
তো যাইহোক আমি আজকে এই বিষয় নিয়েই তাদের কয়েকটি অভিযোগের জবাব দেয়ার চেষ্টা করব।। ইনশাআল্লাহ।।
তাই চলুন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় এগোই।
[ ১নং অভিযোগ খণ্ডন ] ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে মুক্তমনা, সেকুলাররা বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলেন ইসলামে নারীদের অধিকার দেয়া হয় নি উল্টে অসম্মান করা হয়েছে৷
আসলে প্রত্যেক কাফের, ইসলাম বিদ্বেষী ও সেকুলারদের মুখে মুখে এই বিষয় নিয়ে হাসাহাসি ও করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে তারাই হাদীসের নামে জালিয়াতি করে এবং কুরআনের আয়াতের নামে অপব্যাখ্যা করে এক হুলস্থূল কাণ্ড বাঁধিয়ে ফেলে। এতে করে তাদের ফায়দা হয় ইসলামকে সবার সামনে ভূল রূপে প্রকাশ করতে পারার মাধ্যমে অনেক মুসলিমের ঈমান ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে।।
কী অবাক হচ্ছেন তাই তো
হওয়াটাই স্বাভাবিক, বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম কেবল নামে মুসলিম কাজে নয়। অর্থাৎ ইসলামের জ্ঞান কুরআন সম্পর্কে অধিকাংশ মুসলিমই দূরে অবস্থিত। এটা আমার ব্যার্থতা, আপনার ব্যার্থতা, আমাদের সকলের জন্য ব্যার্থতা।
আর ঠিক সেই মোক্ষম সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সুবিধা হাসিল করে নিতে ব্যস্ত ইসলামের বিরুদ্ধে কুচক্রীরা। যদিও আপনি দেখবেন তাদের কথায় আচরণে বোঝার উপায় নেই তাদের ভিতরের অবস্থা। কারণ তারা এমনই ভাবে ব্রেইন ওয়াশ করে যা মূলত এই পৃথিবীর বড় বড় বিখ্যাত সার্জনদের পক্ষেও সম্ভব নয়।
হাসছেন
না, হাসির কথা নয়। এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব আর এটাই হচ্ছে। যা প্রতিনিয়ত ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নারীরা এতে প্রভাবিত বেশি হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু এটা ঠিক যে নারীদের মনকে ক্যাপচার করে নেয়া অতি সহজসাধ্য।
এমনভাবে তাদেরকে প্ররোচিত করে যেন ছোট বাচ্চাদেরকে যেরকম ভাবে ইনিয়েবিনিয়ে গল্প বলে বলে বা খেলার ছলে ভাত খাওয়ানো হয়। ঠিক অনেকটা সেরকম ভাবেই আস্তে আস্তে উলটাপালটা বুঝায়। খানিকটা এরকম ভাবেও বলা যায় – ওষুধের মধ্যেই বিষ ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। যার প্রতিক্রিয়া ধীরে ধীরে রোগীর মধ্যে দেখা যায়৷
তো যাইহোক আমি আজকে এই বিষয় নিয়েই তাদের কয়েকটি অভিযোগের জবাব দেয়ার চেষ্টা করব।। ইনশাআল্লাহ।।
তাই চলুন আমরা আমাদের মূল আলোচনায় এগোই।
একজন পুরুষের সমান দুজন নারী। কুরআন ৪ঃ১১।। মানুষ মাত্রই সমান সে নারী হোক বা পুরুষ।। তাহলে এটাই কী ইসলামে নারীর মর্যাদা?.??
সূরা নিসার ১১ নং আয়াত, এখানে সম্পত্তি বন্টনের নীতিমালা সম্পর্কে বলা হয়েছে। যার ব্যাখ্যা আমি এখানে দিচ্ছি
আন নিসা ৪:১১
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন; এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান,[১]
[১] ইসলাম-পূর্বকালে আরব ও অনারব জাতিসমূহের মধ্যে দুর্বল শ্রেণী, ইয়াতীম বালক-বালিকা ও অবলা নারী চিরকালই যুলুম-নির্যাতনের স্বীকার ছিল। প্রথমতঃ তাদের কোন অধিকারই স্বীকার করা হত না। কোন অধিকার স্বীকার করা হলেও পুরুষের কাছ থেকে তা আদায় করে নেয়ার সাধ্য কারো ছিল না। ইসলামই সর্বপ্রথম তাদের ন্যায্য অধিকার প্রদান করে। এরপর সব অধিকার সংরক্ষণেরও চমৎকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। উত্তরাধিকার আইনেও জগতের সাধারণ জাতিসমূহ সমাজের উভয় প্রকার অঙ্গকে তাদের স্বাভাবিক ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। আরবদের নিয়মই ছিল এই যে, যারা অশ্বারোহন করে এবং শক্রদের মোকাবিলা করে তাদের অর্থ-সম্পদ লুট করার যোগ্যতা রাখে, তারাই শুধু মাত্র উত্তরাধিকারের যোগ্য হতে পারে। [রুহুল মা’আনী] বলাবাহুল্য, বালক-বালিকা ও নারী উভয় প্রকার দুর্বল শ্রেণী এ নিয়মের আওতায় পড়ে না। তাই তাদের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র যুবক ও বয়ঃপ্রাপ্ত পুত্রই ওয়ারিশ হতে পারত। কন্যা কোন অবস্থাতেই ওয়ারিশ বলে গণ্য হত না, প্রাপ্ত বয়স্কা হোক কিংবা অপ্রাপ্ত বয়স্কা। পুত্র সন্তানও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হলে সে উত্তরাধিকারের যোগ্য বলে বিবেচিত হত না। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমলে একটি ঘটনা সংঘটিত হল, সাদ ইবন রবী’ রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্ত্রী রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এ দুটি সাদ ইবন রবী’র কন্যা। তাদের বাবা আপনার সাথে উহুদের যুদ্ধে শহীদ হয়ে গেল। আর তাদের চাচা তাদের সমস্ত সম্পদ নিয়ে গেল। তাদের জন্য কোন সম্পদই বাকী রাখল না, অথচ সম্পদ না হলে তাদের বিয়েও হয় না। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ এর ফয়সালা করবেন। ফলে মীরাসের আয়াত নাযিল হয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের চাচার কাছে লোক পাঠান এবং বলেনঃ তুমি সাদ-এর কন্যাদ্বয়কে দুই-তৃতীয়াংশ সম্পদ এবং তাদের মা-কে এক-অষ্টমাংশ দিয়ে দাও। আর যা বাকী থাকবে তা তোমার। [আবু দাউদঃ ২৮৯১, ২৮৯২, তিরমিযীঃ ২০৯২. ইবন মাজাহঃ ২৭২০, মুসনাদে আহমাদঃ ৩/৩৫২]আন নিসা ৪:১১
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্বন্ধে নির্দেশ দিচ্ছেন; এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান,[১]
হয়তো এই ব্যাখ্যাতে তারা সন্তুষ্ট নন, কিন্তু আমাদের কাছে এটাই যথেষ্ট। কারণ কথায় বলে “নাই মামার চেয়ে, কানা মামা ভালো”। যারা কন্যাশিশুদের হত্যা করতো, নারীদের এক ঘরে করে রাখতো রজস্রাব চলাকালীন, ঠিকমতো খাবার দিতো না। এতোটাই অবহেলিত ছিল নারীরা। সেই নারীদেরকে যখন ইসলাম অধিকার দিলো আর তখনই শুরু হল এক শ্রেণীর মানুষদের নাকে কান্না।
আমি আরো স্পষ্টভাবে বুঝানোর জন্য একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই,
” ধরুন ১ম পরিবারের সদস্য ১০ জন এবং ২য় পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। এখন এই দুই পরিবারকে আপনি সমান সমান অর্থ অনুদান দিলেন ১০০০ টাকা।
তাহলে রেজাল্ট কি দাঁড়ালো?
১ম পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌছালো ১০০ টাকা করে। এবং ২য় পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌছালো ২০০ টাকা করে।
তাহলে এটা কি সুবিচার হলো? অবশ্যই না। ইসলাম সমতায় বিশ্বাসী না। সুবিচারে বিশ্বাসী।
কারণ সমতা দিয়ে আপনি সবাইকে সব ক্ষেত্রে খুশি করতে পারবেন না৷”
আমি আরো স্পষ্টভাবে বুঝানোর জন্য একটি ছোট্ট উদাহরণ দেই,
” ধরুন ১ম পরিবারের সদস্য ১০ জন এবং ২য় পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন। এখন এই দুই পরিবারকে আপনি সমান সমান অর্থ অনুদান দিলেন ১০০০ টাকা।
তাহলে রেজাল্ট কি দাঁড়ালো?
১ম পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌছালো ১০০ টাকা করে। এবং ২য় পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌছালো ২০০ টাকা করে।
তাহলে এটা কি সুবিচার হলো? অবশ্যই না। ইসলাম সমতায় বিশ্বাসী না। সুবিচারে বিশ্বাসী।
কারণ সমতা দিয়ে আপনি সবাইকে সব ক্ষেত্রে খুশি করতে পারবেন না৷”
আর বলাই বাহুল্য, উক্ত উদাহরণের প্রেক্ষিতে একজন পুরুষ ও একজন নারীও ঠিক তেমন। পুরুষদের উপর সব ভারী ভারী দায়িত্ব আল্লাহ তা’আলা দিয়ে দিয়েছেন। আর নারীদের উপর ওতো চাপ দেয় নি, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। আলহামদুলিল্লাহ। আর যেহেতু দায়িত্বের ভার পুরুষের হাতে অর্পিত সেহেতু পুরুষ বেশি পেয়েছে নারীর তুলনায়। এতে বৈষম্যতার কিছু নেই। এটা সাধারণ জ্ঞানের পরিচয়। যার উপর ভার বেশি তার খরচ ততো বেশি এবং যার উপর ভার কম তার খরচ ততো কম।
অতঃপর,
[ ২নং অভিযোগ খণ্ডন ]
অভিযোগকারীরা বলে থাকেন, কুরআনে বলা আছে “হে মুমিনগণ তোমাদের সঙ্গীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য শস্যক্ষেত্র, যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করো।” কুরআন ২ঃ২২৩ । এখানে নারীকে শস্যক্ষেত্রের সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে বা চাষযোগ্য জমি।হায় কত নিম্ন জিনিসের সাথে নারীকে তুলনা করা হয়েছে। এর নামই কি ইসলামে নারীর মর্যাদা??
শস্যক্ষেত – চাষ জমি – তুলনা
বাহ…. চমৎকার ল্যাঙ্গুয়েজ তো। মনে হচ্ছে তাফসীর বীদ ইবনে কাসিরের চাইতেও বড় মাপের তাফসীর লেখক হয়েছে তারা। “শস্যক্ষেত” বলা আছে কুরআনে কিন্তু তারা আবার বাড়তি লাগিয়েছেন চাষ জমি আর তুলনা। যার ছিটাফোঁটা চিহ্নও কুরআনে নেই। এক্ষেত্রে তারা ব্যাপক বড় ভুল ব্যাখ্যা করেন।
আল-বাকারাহ ২:২২৩
বাহ…. চমৎকার ল্যাঙ্গুয়েজ তো। মনে হচ্ছে তাফসীর বীদ ইবনে কাসিরের চাইতেও বড় মাপের তাফসীর লেখক হয়েছে তারা। “শস্যক্ষেত” বলা আছে কুরআনে কিন্তু তারা আবার বাড়তি লাগিয়েছেন চাষ জমি আর তুলনা। যার ছিটাফোঁটা চিহ্নও কুরআনে নেই। এক্ষেত্রে তারা ব্যাপক বড় ভুল ব্যাখ্যা করেন।
আল-বাকারাহ ২:২২৩
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا۟ حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْۖ وَقَدِّمُوا۟ لِأَنفُسِكُمْۚ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ وَٱعْلَمُوٓا۟ أَنَّكُم مُّلَٰقُوهُۗ وَبَشِّرِ ٱلْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রী তোমাদের শস্যক্ষেত্র (স্বরূপ)। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে (যেদিক থেকে) ইচ্ছা গমন করতে পার।[১] [১] ইয়াহুদীদের ধারণা ছিল যে, যদি মহিলাকে উপুড় করে পিছনের দিক থেকে তার সাথে সঙ্গম করা হয়, তাহলে (সেই সঙ্গমে সন্তান জন্ম নিলে) তার চক্ষু টেরা হয়। এই ধারণার খন্ডনে বলা হচ্ছে যে, সহবাস সামনের দিক থেকে কর অথবা পিছনের দিক থেকে কর, যেভাবে ইচ্ছা কর সবই বৈধ। তবে সর্বক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক হল নারীর যোনিপথ ব্যবহার করা। কেউ কেউ এ থেকে প্রমাণ করেন যে, ‘যেভাবে ইচ্ছা’ কথার মধ্যে মলদ্বারও এসে যায়। কাজেই স্ত্রীর মলদ্বার ব্যবহারও বৈধ। কিন্তু এটা একেবারে ভুল কথা। যখন কুরআন মহিলাকে শস্যক্ষেত (সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত) সাব্যস্ত করল, তখন এর পরিষ্কার অর্থ হল, কেবল ক্ষেতকে ব্যবহারের জন্য বলা হচ্ছে যে, “নিজেদের শস্যক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন কর।” আর এই ক্ষেত (সন্তান জন্মের স্থান) কেবল যোনিপথ, মলদ্বার নয়। মোটকথা, পায়ুমৈথুন একটি রুচি ও প্রকৃতি-বিরোধী কাজ। (তা ছাড়া হাদীসে আমাদেরকে বলা হয়েছে যে, স্ত্রীর পায়খানাদ্বারে সঙ্গম করা এক প্রকার কুফরী এবং) যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর মলদ্বার ব্যবহার করে, সে অভিশপ্ত। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল ক্বাদীর)
ইসলাম মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে। ইসলামে কোনকিছুতেই জোড় জুলুম নেই। সূরা বাকারার ২৫৬ নম্বর আয়াতটা দেখতে পারেন।
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যেমন কর্তব্য আছে তেমনি স্ত্রীরও আছে স্বামীর প্রতি কর্তব্য।
উপরের এই আয়াতে মূলত সহবাসের নিয়ম বর্ণিত আছে। আর সেটা তারা টেনে হিচড়ে চাষ জমিতে নিয়ে গেছে। যা আমাদের (নারীদের) জন্য অপমানজনক।
সহবাস! এটা বৈবাহিক মাধ্যমেই কেবল বৈধ। আর বিয়ে করা মানেই অর্ধেক দ্বীনকে পূর্ণ করা। হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিবাহ করল সে তার অর্ধেক ইমান পূর্ণ করে নিলো। এখন সে যেন বাকি অর্ধেকের জন্য তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অবলম্বন করে।(বায়হাকি শরিফ)
তাঁরা কি জানেএখানে এই “দ্বীন” শব্দটা দিয়ে কিন্তু ইসলামকে বুঝিয়েছে। তার মানে ইসলাম অর্ধেক পূর্ণ করা। এটা সোয়াবের কাজ। আর সোয়াবের কাজও ইবাদত।
আর তাই “ইবাদত” সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তো কুরআনে বলা থাকবেই। কারণ এটা হালাল – হারাম প্রসঙ্গ এবং কুরআন আমাদের জীবন বিধান। আর তাছাড়া কুরআনে তো ২ঃ১৮৭ আয়াতে বলা আছে “তোমরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পোশাক।” তাহলে এই আয়াতটা তাদের চোখে পড়ে নি?
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যেমন কর্তব্য আছে তেমনি স্ত্রীরও আছে স্বামীর প্রতি কর্তব্য।
উপরের এই আয়াতে মূলত সহবাসের নিয়ম বর্ণিত আছে। আর সেটা তারা টেনে হিচড়ে চাষ জমিতে নিয়ে গেছে। যা আমাদের (নারীদের) জন্য অপমানজনক।
সহবাস! এটা বৈবাহিক মাধ্যমেই কেবল বৈধ। আর বিয়ে করা মানেই অর্ধেক দ্বীনকে পূর্ণ করা। হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিবাহ করল সে তার অর্ধেক ইমান পূর্ণ করে নিলো। এখন সে যেন বাকি অর্ধেকের জন্য তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অবলম্বন করে।(বায়হাকি শরিফ)
তাঁরা কি জানেএখানে এই “দ্বীন” শব্দটা দিয়ে কিন্তু ইসলামকে বুঝিয়েছে। তার মানে ইসলাম অর্ধেক পূর্ণ করা। এটা সোয়াবের কাজ। আর সোয়াবের কাজও ইবাদত।
আর তাই “ইবাদত” সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তো কুরআনে বলা থাকবেই। কারণ এটা হালাল – হারাম প্রসঙ্গ এবং কুরআন আমাদের জীবন বিধান। আর তাছাড়া কুরআনে তো ২ঃ১৮৭ আয়াতে বলা আছে “তোমরা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পোশাক।” তাহলে এই আয়াতটা তাদের চোখে পড়ে নি?
অতঃপর,,,
[ অভিযোগ – ৩ খণ্ডন ] ***পুরোই মিথ্যাচার করে থাকে এভাবে
অভিযোগকারীরা বলে থাকেন, “বিয়ের সময়ে কুমারী মেয়ের সম্মতির দরকার নাই….. ” ৩৩০৭ নং মুসলিম হাদীস শরীফ। একজন মেয়ে বিয়ে করবে, একজনের সাথে সারাটা জীবন কাটাবে অথচ তার মতামতের প্রয়োজন নেই।। এই কী ইসলামে নারীর অধিকার / সম্মান?
তিনি হাদীস অসম্পূর্ণ রেখেছেন। এই মর্মে বেশ কয়েকটা হাদীস আছে সহীহ মুসলিমে ৩৩৪২ – ৩৩৫১ নং হাদীস।
যেখানে স্পস্ট বলা হয়েছে এমন
৩৩৪২। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর কাওয়ারীরী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ব বিবাহিতকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি না নিয়ে এবং কুমারীকে তার সম্মতি না নিয়ে বিবাহ দেওয়া যাবে না। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তার (কুমারীর) সম্মতি কিভাবে নেওয়া যাবে? তিনি বললেনঃ তার নীরবতা।””
বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন,চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।”[সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)]
যেখানে স্পস্ট বলা হয়েছে এমন
৩৩৪২। উবায়দুল্লাহ ইবনু উমর কাওয়ারীরী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পূর্ব বিবাহিতকে তার সুস্পষ্ট অনুমতি না নিয়ে এবং কুমারীকে তার সম্মতি না নিয়ে বিবাহ দেওয়া যাবে না। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তার (কুমারীর) সম্মতি কিভাবে নেওয়া যাবে? তিনি বললেনঃ তার নীরবতা।””
বরং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল,ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন,চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।”[সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)]
এখানে সম্মতির দরকার নেই, বলা হয় নি। বরং সম্মতি নিতে হবে। আর অন্যত্র হাদীসে আছে,
সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদীস নং- ২০৯৬। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক যুবতী এসে বললো, তার অসম্মতিতে তার পিতা তাকে বিয়ে দিয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এখতিয়ার প্রদান করলেন (সে বিয়ে রাখতেও পারে অথবা বিচ্ছেদ ঘটাতেও পারে)।[1] [1]. ইবনু মাজাহ, আহমাদ। হাদিসের মানঃ সহিহ।
[ ৪নং অভিযোগ খণ্ডন ] ****সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)
হাদীস নং- ২০৯৬। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এক যুবতী এসে বললো, তার অসম্মতিতে তার পিতা তাকে বিয়ে দিয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এখতিয়ার প্রদান করলেন (সে বিয়ে রাখতেও পারে অথবা বিচ্ছেদ ঘটাতেও পারে)।[1] [1]. ইবনু মাজাহ, আহমাদ। হাদিসের মানঃ সহিহ।
অভিযোগকারীরা বলেছেন ” বন্ধা নারীকে বিবাহ করা নিষেধ। ” সুনান আবু দাউদ ২০৫০।
একজন নারীর কোন সমস্যা থাকতেই পারে তাই বলে কি সে বিয়ে করতে পারবে না। যেখানে একজন নারী বিয়ে করে স্বামী সংসার চায় অথচ ইসলামে বন্ধা নারীকে বিবাহ নিষেধ। এই কী ইসলামে নারীর মর্যাদা??
মা‘কিল ইবনু ইয়াসার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে উপস্থিত হয়ে বললো, আমি এক সুন্দরী ও মর্যাদা সম্পন্ন নারীর সন্ধান পেয়েছি। কিন্তু সে বন্ধ্যা। আমি কি তাকে বিয়ে করবো? তিনি বললেনঃ না। অতঃপর লোকটি দ্বিতীয়বার এসেও তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন। লোকটি তৃতীয়বার তাঁর নিকট এলে তিনি তাকে বললেনঃ এমন নারীকে বিয়ে করে যে, প্রেমময়ী এবং অধিক সন্তান প্রসবকারী। কেননা আমি অন্যান্য উম্মাতের কাছে তোমাদের সংখ্যাঘিধক্যের কারণে গর্ব করবো।সুনান আবু দাউদ ২০৫০।
হাসান সহীহ। সুনানে নাসায়ী।
হাসান সহীহ। সুনানে নাসায়ী।
এখানে বন্ধা নারীকে বিবাহ করতে একেবারে নিষেধ করে নি। যদি তাই করতো তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীরা তো মোটামুটি অনেকেই বন্ধা ছিল। তাদের মধ্যে আয়েশা রাঃ ছিল কুমারী এবং নিঃসন্তান। তারপরও আয়েশা রাঃ কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সবচেয়ে বেশি ভালবাসতেন।
এই মর্মে একটি হাদীস আছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “হে আল্লাহ! যা কিছু আমার আয়ত্তাধীন, (অর্থাৎ স্ত্রীদের মধ্যে সাম্য বজায় রাখা) সে ক্ষেত্রে ইনসাফ থেকে যেন আমি বিরত না থাকি, আর যা আমার আয়াত্তের বাইরে (অর্থাৎ আয়েশার মর্যাদা ও ভালবাসা) তা ক্ষমা করে দাও। (আবু দাউদ)
আমর ইবনুল আস (রাঃ) নবীজীকে জিজ্ঞেস করেন, ” ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুনিয়ায় আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আয়েশা। তিনি বললেন, আমি জানতে চাচ্ছি পুরুষদের মধ্যে কে সবচেয়ে প্রিয়? রাসূল (সাঃ) জবাবে বললেন, আয়েশার পিতা অর্থাৎ আবু বকর (রাদিআল্লাহু) ।
এছাড়াও তাদের কি জানা নেই নবী ইব্রাহীম আঃ -এর স্ত্রী সারা (রা.)-ও একজন বন্ধা নারী ছিলেন। যাকে ৯০ বছর পর তাদেরকে নেক সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল।
এই মর্মে একটি হাদীস আছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “হে আল্লাহ! যা কিছু আমার আয়ত্তাধীন, (অর্থাৎ স্ত্রীদের মধ্যে সাম্য বজায় রাখা) সে ক্ষেত্রে ইনসাফ থেকে যেন আমি বিরত না থাকি, আর যা আমার আয়াত্তের বাইরে (অর্থাৎ আয়েশার মর্যাদা ও ভালবাসা) তা ক্ষমা করে দাও। (আবু দাউদ)
আমর ইবনুল আস (রাঃ) নবীজীকে জিজ্ঞেস করেন, ” ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দুনিয়ায় আপনার সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি কে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আয়েশা। তিনি বললেন, আমি জানতে চাচ্ছি পুরুষদের মধ্যে কে সবচেয়ে প্রিয়? রাসূল (সাঃ) জবাবে বললেন, আয়েশার পিতা অর্থাৎ আবু বকর (রাদিআল্লাহু) ।
এছাড়াও তাদের কি জানা নেই নবী ইব্রাহীম আঃ -এর স্ত্রী সারা (রা.)-ও একজন বন্ধা নারী ছিলেন। যাকে ৯০ বছর পর তাদেরকে নেক সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল।
কাজেই উক্ত হাদীসে বন্ধা নারীকে বিবাহের নিষেধ করেছে ঐ লোকটির জন্য। তাই বলে হারাম তো বলেনি, বা একেবারেই নিষিদ্ধ। বা বন্ধা নারীদেরকে অবহেলিত করা হয় নি। মূলত হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মত বৃদ্ধির দিকে সবাইকে উৎসাহ দিয়েছেন। একজন নবী তাঁর উম্মত বৃদ্ধি করতে ইচ্ছা পোষণ করবেন, আর এটাই স্বাভাবিক।
এই হচ্ছে তাঁদের করা মিথ্যাচারের প্রতিবাদ মূলক জবাব। ইসলাম নারী যে সম্মান দিয়েছে তারা সেগুলোকে পদদলিত করছে। প্রথমেই একজন নারীকে এসব উলটাপালটা বুঝিয়ে ব্রেইন ওয়াশ করে। এবং পরে সেই নারীকেই তারা নিজেদের জন্য নিজেদের মতো করে সুযোগ বুঝে ব্যবহার করতে পিছু হটে না।
আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি তাদের এবং তাদেরও যারা এই বেড়া জালে আটকে পড়েছেন।।
ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য।।
আশাকরি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি তাদের এবং তাদেরও যারা এই বেড়া জালে আটকে পড়েছেন।।
ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য।।
No comments
Note: Only a member of this blog may post a comment.