যাকাতের দর্শন

আসসালামু আলাইকুম,,,,১০ বছর পড়ার লেখা করার পর আল্লাহ আজকে ইসলামের একটি বিষয় এ বুঝ দিয়েছে।।। বিষয় টা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।।।কারো যদি নেসাব লেভেল এর বেশি সম্পদ হয়ে যাই তাহলে তার যাকাত ফর‍য হয়।।যাকাত এর অর্থ নির্ধারণ হয় রুপা দিয়ে।।সোনা নির্ধারণ হয় ৭.৫ ভরি দিয়ে।।অর্থাৎ কারো কাছে যদি কোন অর্থ না থেকে যদি শুধু ৭.৫ ভরি সোনা থাকে তাহলে তাকে ২.৫% ছেড়ে দিতে হবে অই সোনার দাম হিসেব করে।।। বর্তমান এ রুপা ১০৫০ টাকা ভরি। ৫২ ভরি রুপার দাম ৫৪৬০০ টাকা।।কারো যদি খেয়ে পড়ে ঋন দেনা শোধ করে ক্লিয়ার ভাবে ৫৪৬০০ টাকা ১ বছর অতিবাহিত হয় তাহলে তাকে বছর শেষ এ যাকাত দিতে হবে মাত্র ১৩৬৫ টাকা।এইটা সর্বনিম্ন হিসাব অর্থ বেশি থাকলে যাকাত বেশি আসবে।।।এইবার চিন্তা করুন এই যাকাত আবার দিতে হবে ৮ টি সুনির্দিষ্ট খাতে
اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡہَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُہُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾
নিশ্চয় যাকাত হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।[সুরা তওবা,অধ্যায় ৯,আয়াত ৬০]
এখন চিন্তা করুন অর্থ মাত্র ১৩৬৫ টাকা। কিন্তু হক মেরে খেলেন ৮ শ্রেণীর মানুষের ।।যদি একজনকেও দিয়ে দিতেন তাহলে হক আদায় হয়ে যেত। কিন্তু না দেওয়ার কারনে ৮ শ্রেণির মানুষ এর হক মেরে খেলেন। এখন এইটা ছিলো বান্দার হক। আপনার কাছে অই ১৩৬৫ টাকা আর আপনার হক ছিলো না। ছিলো অন্যদের।।।এখন বান্দার হক মেরে খেলে বান্দা ক্ষমা না করলে আল্লাহ মাফ করবে না।।।এইবার চিন্তা করুন অই ৮ শ্রেণীর মধ্যে কত গুলা মানুষ আছে। এবং তাদের মধ্যে একজন যদি মাফ না করে তাহলে আপনি আমি শেষ।।। কারণ কিয়ামতে যাকাত দেয়ার সুজুগ থাকবে না।আল্লাহ বলেছেন,
63:10
وَ اَنۡفِقُوۡا مِنۡ مَّا رَزَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ قَبۡلِ اَنۡ یَّاۡتِیَ اَحَدَکُمُ الۡمَوۡتُ فَیَقُوۡلَ رَبِّ لَوۡ لَاۤ اَخَّرۡتَنِیۡۤ اِلٰۤی اَجَلٍ قَرِیۡبٍ ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَکُنۡ مِّنَ الصّٰلِحِیۡنَ ﴿۱۰﴾
আর আমি তোমাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরো কিছু কাল পর্যন্ত অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদাকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।
এইবার চিন্তা করুন যাকাত না দিয়ে কুরবানী করা,হজ্জ করা,বাড়ি করা,গাড়ি কেনা, খাদ্য কেনা কোন টা হালাল হবে??,,,,কারণ আপনার টাকা তো বিশুদ্ধ না।।৮ শ্রেণীর মানুষ এর হক মিশ্রিত টাকা।।।এই জন্যই হয়তো আবু বকর সিদ্দিক( রাঃ) যাকাত না আদায়কারী বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলো।
কুরান পড়ে জানতে পেরেছি
১/মসজিদ কমিটির সদস্য হতে হলে যাকাত দিতে হবে।(সুরা তওবা, আয়াত ১৮)
২/যুদ্ধ বন্দী কে ছেরে দেওয়ার সময় শর্ত দিতে হবে যাকাত দিতে।(সুরা তওবা, আয়াত,৫)
৩/সফল মুমিন এর পরিচয় যাকাত আদায় করে।(সুরা মুমিনুন,আয়ায়৪)
৪/মুত্তাকির গুন যাকাত আদায়কারী।(সুরা বাকারা,আয়াত ১৭৭)
৫/হেদায়েত উপর থাকার শর্ত যাকাত দেয়া।(সুরা বাকারা,আয়াত ২-৫)
আল্লাহ ভাল জানে যাকাত এর গুরুত্ব আরো কত।।
আল্লাহ আমাদের যাকাত আদায়কারী হিসেবে কবুল করুন।।। আমিন।।।
লেখকঃনায়েক রবিউল


No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.